গ্যাটস ২০১৭ সালের রিপোর্ট বলছে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এছাড়াও পরোক্ষভাবে ধূমপান ও তামাকদ্রব্য গ্রহণ করার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে প্রত্যক্ষ তামাক ব্যবহারকারীর সম পরিমাণ মানুষ। আর এই পরোক্ষ ধূমপান ও তামাকদ্রব্য ব্যহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ক্ষতির সম্ভাবনায় থাকে বিড়ি শ্রমিকরা।
আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডরপ্ গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ টাঙ্গাইল জেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নাটকানের বড়–রিয়ায় (বড় কালিবাড়ী মন্দির) ৩০ জন বিড়ি শ্রমিককে নিয়ে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে বিড়ি শ্রমিকদের ভূমিকা” বিষয়ক একটি আলোচনা সভা পরিচালনা করে। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল বিড়ি শ্রমিকদের র্ডপ ও সিটিএফকে- এর পক্ষ থেকে ধূমপান ও তামাকের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন দিক এবং এ আইন শক্তিশালীকরণে তাদের ভূমিকা বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাঙ্গাইল জেলা সরকার হাসপাতালের চেয়ারম্যান জনাব আবুল হোসেন সরকার (আবু) বলেন, “বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের ফলে স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হন। যারা বিড়ি তৈরির কাজ করেন তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অন্যান্যদের থেকে বেশি। আর তাই অন্য কোন উপায় না থাকলে আপনারা বিড়ি তৈরির সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন। এতে আপনাদের স্বাস্থ্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।”
সভাপতির ভাষণে টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সম্পাদক জনাব জীবন সাহা বলেন, “বিড়ি বা তামাকজাত ্রব্য যে পরোক্ষভাবে ক্ষতি করতে পারে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে আমরাও ভূমিকা রাখতে পারি তা আমারে ভালোভাবে জানা ছিল না। র্ডপকে ধন্যবাদ আমাদের বিষয়টা জানানোর জন্য। আমি সকল বিড়ি শ্রমিকদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে অবদান রাখার অনুরোধ করবো।”
এছাড়া ডরপ্ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিড়ি শ্রমিকরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে অবদান রাখতে বিভিন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম করার ইচ্ছা পোষণ করেন। উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বড়রিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জনাব সলিম মন্ডল এবং র্ডপ টাঙ্গাইলের ফ্যাসিলিটেটর গুলজার হোসেন।
No comments:
Post a Comment