/ / ৪টি যন্ত্রণাদায়ক রোগের সহজ ঘরোয়া চিকিৎসা

৪টি যন্ত্রণাদায়ক রোগের সহজ ঘরোয়া চিকিৎসা

খাদ্য একটি শক্তিশালী উপাদান। খাদ্যের জন্য আমাদের দেহ বেড়ে উঠে। খাদ্য থেকে আমরা কাজ করার শক্তি পাই। খাদ্য খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। প্রত্যেকেরই খাদ্যের প্রয়োজন আছে। খাদ্য আমাদের দেহকে নীরোগ রাখতেও সাহায্য করে।

অসুখ-বিসুখ হলে আমরা সবার প্রথমে ঔষধ খুঁজি। কিন্তু আমরা জানি না খাদ্য আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে কতোটা সাহায্য করে অসুস্থতার মাঝেও। অনেকেই বলতে পারেন খাদ্য ওষুধের মত, কিন্তু ওষুধ নয়। কিন্তু ডাক্তার ও গবেষকদের মতে খাদ্য ওষুধের মত নয়, বরং খাদ্যই ওষুধ। অনেক খাদ্যই আছে যেগুলো ওষুধের মত কাজ করে, কিন্তু আমরা না জেনে আগে ওষুধের পেছনে ছুটি। কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে যে খাদ্য যে ভাবে ওষুধের কাজ করে তার তুলনা নেই। আসুন জেনে নেই কিছু কিছু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও কিছু খাবারের মধ্যের লুকায়িত ঔষধি গুনাগুন।

মাংসপেশির ব্যথা দূর করতে আদার ব্যবহার
ড্যানিশ গবেষকদের মতে আদা মাংসপেশির আড়ষ্টতা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা দেখতে পান আদার মধ্যে রয়েছে ব্যথানাশক একটি উপাদান যা ‘জিঞ্জারলস’ নামে পরিচিত। আদা খেলে এই উপাদানটি শরীরে পৌঁছে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে ও মাংসপেশি সহজ হতে সাহায্য করে।


যাদের মাংসপেশির ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ঔষধ সেবনের অভ্যাস আছে, তারা দৈনিক খাবার তালিকায় শুকনো আদা ১ চা চামচ অথবা আদা কুচি ২ চা চামচ রাখতে পারেন। তৈরি করে খেতে পারেন আদা চা, কিংবা কাঁচা চিবিয়েও খেতে পারেন মধু সহকারে। এতে করে মাংসপেশির ব্যথার সমস্যা দূর হবে কোন ব্যথানাশক ঔষধ ছাড়া।

দাঁত ব্যাথা উপশমে লবঙ্গ
দাঁতে ব্যাথা হচ্ছে? ডাক্তারের কাছে যেতে পারছেন না? কোন সমস্যাই নয়। একটি লবঙ্গ নিয়ে খানিকক্ষণ চিবিয়ে নিন। দাঁত ব্যথা কমে তো যাবেই, সাথে দুই ঘণ্টার মত মাড়ির প্রদাহ কম থাকবে। ইউসিএলএ এর গবেষকরা বলেন, লবঙ্গে প্রাকৃতিক ভাবে অনেক শক্তিশালী একটি অ্যানেস্থেটিক উপাদান আছে যা ব্যাথা দূর করে। এই উপাদানটির নাম ‘ইউজেনল’।
প্রতিদিন নিয়মিত ১/৪ চা চামচ লবঙ্গ গুঁড়ো খেলে মাড়ি প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়া ১/৪ চা চামচ লবঙ্গ গুঁড়ো ৩ সপ্তাহের মধ্যে ধমনীর রক্ত চলাচলে বাঁধা প্রদান করে, যা কোলেস্টরল তা কমাতেও সাহায্য করে।

পায়ের নখের সমস্যা সমাধানে লবন
বর্তমানে পায়ের নখে ছত্রাকের আক্রমণ খুবই সাধারন ঘটনা। নখের সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে দরকার ধৈর্য। কারন যে কোন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনই অনেক সময়ব্যাপী পালন করলে এই ছত্রাকের হাত থেকে নিরাময় সম্ভব। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন ডাক্তারের ওষুধের কাজের চেয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতি বেশ কার্যকরী। সামান্য লবনের সঠিক ব্যবহার এর থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনাকে শুধুমাত্র ধৈর্যশীল হতে হবে।

একটি পাত্রে প্রতিকাপ পানির জন্য ১ চা চামচ লবন যোগ করে পানি গরম করুন। পানি ঠিক ততোটাই গরম করবেন যতটা আপনার পা সহ্য করতে পারে। তারপর এই পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এভাবে নিয়মিত করুন যতদিন না ছত্রাক নির্মূল হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়া 'র স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিটি শুধুমাত্র নখের ছত্রাকই নয়, পায়ে যে কোন ধরনের প্রদাহ ও পা ফোলা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এর কারন হিসেবে তারা বলেন লবনের ‘নেক্সাস’ নামক উপাদানটি পায়ের প্রদাহ জনিত ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম।


কানের ইনফেকশন দূর করতে রসুন
প্রতি বছর কানের ইনফেকশনের জন্য অনেক মানুষ ডাক্তারের কাছে ছোটেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ নিউ মেক্সিকো স্কুল অফ মেডিসিনের এক্সপার্টরা বলেন, ঘরোয়া চিকিৎসায় অতি দ্রুত এই ধরনের কানের ইনফেকশন দূর করা সম্ভব যা যে কোন প্রেসক্রিপশনের থেকেও দ্রুত কাজে দেবে। এর জন্য দরকার রসুনের তেল। দিনে ২ বার ২ ফোঁটা রসুনের তেল কানের ইনফেকশন দূর করে ৫ দিনের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলেন রসুনের সক্রিয় উপাদানগুলো যেমন জার্মেনিয়াম, সেলেনিয়াম, এবং সালফার যৌগ ইনফেকশনের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সক্ষম।

বাসায় সহজেই রসুনের তেল তৈরি করে নিতে পারেন। এর জন্য আপনার লাগবে একটু বড় আকৃতির ৩ টি রসুনের কোয়া ও অলিভ অয়েল। প্রথমে রসুনের কোয়া পিষে নিন ও এটি ২ মিনিট এক কাপ অলিভ অয়েলে রাখুন। তারপর তেলটুকু ছেঁকে নিন। এই রসুনের তেল আপনি ফ্রিজে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন।

source : http://fairnews24.com

about author

Previous Post :Go to tne previous Post
Next Post:Go to tne Next Post

No comments:

Post a Comment